Search Icon

Bangladesh এর এলাকাগুলি ঘুরে দেখুন

308টি এলাকার মধ্যে 90 - 108টি
ওয়ারী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

ওয়ারী
, ঢাকা

ঢাকার ওয়ারী এলাকা আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাণবন্ত। এটি আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, সরকারী ও বেসরকারী অফিস, সুপার শপ, শপিং মল, রেস্তোরাঁ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ একটি ব্যস্ত এলাকা। এটি মতিঝিল, গুলিস্তান, গোপীবাগ, ইস্কাটন, রমনা এবং পুরান টাউনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দ্বারা বেষ্টিত।<br><br> ওয়ারির ইতিহাস অনেক পুরানো, এবং মুঘল ও ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই এই এলাকার আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি বৈচিত্র্যময়। এই এলাকার স্থাপত্য, ঐতিহ্যবাহী কাঠামো এবং রন্ধনপ্রণালী কেবল অতুলনীয়। এটি ঢাকার প্রথম পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। সরু গলি এবং জনাকীর্ণ এলাকা সত্ত্বেও, এলাকাটি যত্ন সহকারে ডিজাইন করা হয়েছে। তাই এখানে আপনি ঐতিহ্যগত পুরানো চেহারা এবং আধুনিক জীবনধারার সমন্বয় পাবেন।<br><br> ব্রিটিশ আমলে এই এলাকার আধুনিকায়ন শুরু হয়। তখন এটি ছিল ধনী, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষিত লোকদের একটি বড় বসতি। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এখানে নান্দনিক আবাসন প্রকল্প, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অ্যাপার্টমেন্ট এবং উন্নয়ন প্রকল্প আসছে। পুরো এলাকা দুটি ভাগে বিভক্ত- পুরাতন ওয়ারী এবং নতুন ওয়ারী।<br><br> এই এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদ, মন্দির এবং গীর্জা রয়েছে, এই উপাসনালয়ের প্রতিটিই স্থাপত্যের নিদর্শন। সবজি, জামাকাপড় এবং ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে মশলা পর্যন্ত বিস্তৃত পণ্য এখানে পাওয়া যায়। ঢাকা শহরের প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। কিন্তু এই এলাকায় যানজট, দূষণ, অপরিকল্পিত অবকাঠামোর মতো সমস্যাও রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কয়লাঘাট প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কয়লাঘাট
, খুলনা

কয়লা ঘাট খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এলাকা, যা রূপসা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি খুলনা শহরের শিল্প এলাকাগুলোর কাছে হওয়ায় কারখানা এবং গুদাম থেকে কাঁচামাল ও প্রস্তুত পণ্য পরিবহণে সুবিধা প্রদান করে। এটি খুলনা ও দেশের অন্যতম প্রাচীন বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রথমে কয়লা এবং অন্যান্য পণ্য পরিবহণের জন্য প্রসিদ্ধ থাকলেও, সময়ের সাথে এটি একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হয়েছে।<br><br> মংলা বন্দর, জাহাজ নির্মাণ কারখানা এবং ফেরিঘাট এলাকাটিকে একটি ব্যস্ত শিল্প ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। কয়লা পরিবহন, আন্তর্জাতিক কন্টেইনার পরিবহন এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। কৌশলগত অবস্থান এটিকে আঞ্চলিক পরিবহন নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত করেছে, যা খুলনাকে বাংলাদেশের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত করেছে। কয়লা ঘাটের পশ্চিমে কয়রা উপজেলা, পূর্বে রূপসা নদী, উত্তরে ডুমুরিয়া ও খুলনা সিটি এবং দক্ষিনে পাইকগাছা উপজেলা অবস্থিত।<br><br> খুলনা সিটি বাইপাস রোড (N7 মহাসড়ক), শিপইয়ার্ড রোড, খানজাহান আলী রোড এবং রূপসা ঘাট রোড এলাকাটির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে। খান জাহান আলী ব্রিজ এবং ফেরিঘাট ব্যবহার করে সুন্দরবন এবং বরিশালসহ দেশের দক্ষিনাঞ্চলের সব জেলায় যাতায়াত করা যায়।<br><br> অর্থনৈতিক গুরুত্ব ছাড়াও কয়লা ঘাটের এলাকায় ঐতিহ্য ও স্থাপত্য-এর একটি অনন্য মিশ্রণ রয়েছে। এখানে ঐতিহাসিক মসজিদ-মন্দির থেকে শুরু করে ঔপনিবেশিক যুগের স্থাপত্য দেখতে পাওয়া যায়। নিয়মিতভাবে এখানে ঐতিহাসিক মেলা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।<br><br> কয়লা ঘাটের অন্যতম আকর্ষণ এর মনোরম নদীতীরবর্তী দৃশ্য। এখানে বিভিন্ন দোকান, বাজার, গুদাম এবং ছোট থেকে মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যস্ত বাণিজ্যিক কার্যক্রম বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখেছে।<br><br> সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং বসবাসের অনুকূল পরিবেশ থাকার কারণে এ এলাকায় আবাসিক ভবনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কামরাঙ্গীরচর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কামরাঙ্গীরচর
, ঢাকা

কামরাঙ্গীরচর উত্তরে হাজারীবাগ থানা ও লালবাগ থানা, পূর্বে লালবাগ থানা ও চকবাজার থানা এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে বিখ্যাত কেরানীগঞ্জ উপজেলা সীমানা দিয়ে ঘেরা। কামরাঙ্গীরচর একটি ঘনবসতিপূর্ণ স্থান যেখানে ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার একটি আভা রয়েছে। এটি বেশ বড় এলাকা, এবং এই জায়গাটির সাথে যুক্ত মোট এলাকা প্রায় ৩.৬৩ কিমি (১.৪০ বর্গ মাইল)।<br><br> কামরাঙ্গীরচরের জনসংখ্যা হল ৯৩,৬০১ জন যেখানে পরিবারের গড় সদস্য ৪.৩ এবং গড় সাক্ষরতার হার ৫৭.৬% (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে)। এই জায়গাটি বস্তি হিসেবে সুপরিচিত। বস্তিগুলি উপকণ্ঠে এবং কম অ্যাক্সেসযোগ্য অঞ্চলে, যেমন গলিতে অবস্থিত হতে পারে। বাংলাদেশের বস্তির উপর ২০০৬ সালের একটি জরিপ দেখায় যে বস্তির একক বৃহত্তম ঘনত্ব কামরাঙ্গীরচরের DUMP এলাকায়। জরিপে আরও দেখা গেছে যে সেখানে প্রায় ৩০০,০০০ লোক বাস করে এবং তাদের মধ্যে ২৬৫,০০০ বস্তিবাসী। ২০২১ সালের জরিপ অনুসারে, কামরাঙ্গীরচরের সবচেয়ে বড় বস্তি, যেখানে ৬০০,০০০-এর বেশি মানুষ বস্তিতে বাস করে।<br><br> কামরাঙ্গীরচরে সুলতানগঞ্জ নামে একটি স্থান বিখ্যাত, এটি ডিসিসি (কোতোয়ালি), ঢাকা জেলা, ঢাকা বিভাগে অবস্থিত। এটি একটি বড় জায়গা এবং এখানে প্রচুর লোক বাস করে।<br><br> সামগ্রিকভাবে, ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকার মতো কামরাঙ্গীরচরের জনপ্রিয়তা এবং স্বীকৃতি একই মাত্রার নাও হতে পারে, এর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, এবং সম্প্রদায়ের চেতনা এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান এবং উন্নয়নের জন্য বিবেচনা করার মতো জায়গা করে তুলেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কাসিপুর বাজার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কাসিপুর বাজার
, বরিশাল

কাশিপুর বাজার বরিশাল জেলার একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, যা এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। ভাঙ্গা-বরিশাল হাইওয়ে এবং সি অ্যান্ড বি রোডের সংযোগ এই এলাকার অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাড়িয়েছে। এছাড়াও, কীর্তনখোলা নদী এবং বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালের কারণে এই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে, ফলে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে কাঁচাবাজার, পাইকারি বাজার, শপিং মল, ব্যাংক, সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে।<br><br> বরিশাল বিমানবন্দর, নদীবন্দর এবং বাসস্ট্যান্ড কাশিপুর বাজারের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। এখান থেকে দেশের সব উপজেলা এবং প্রধান সড়কগুলোতে সহজেই যাতায়াত করা যায়। এলাকার দক্ষিণ দিকে রয়েছে ঝালকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা। উত্তরে বরিশাল সদর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর। পূর্ব দিকে ভোলা ও নোয়াখালী এবং পশ্চিম দিকে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা অবস্থিত।<br><br> কাশিপুর বাজারের অর্থনীতি মূলত কৃষি এবং পণ্য পরিবহনের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে। এছাড়া, স্থানীয় খুচরা ও পাইকারি বাজারও জেলার সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যোগাযোগ, পরিবহন ও কর্মসংস্থানের দিক থেকে এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বাজারে তাজা শাক-সবজি, আসবাবপত্র, টেক্সটাইল, গৃহস্থালি সামগ্রী ও ইলেকট্রনিক পণ্য পাওয়া যায়।<br><br> এখানে মুঘল আমলের বেশ কয়েকটি স্থাপত্য নিদর্শনসহ মসজিদ ও মন্দির রয়েছে। এছাড়াও, দুর্গাসাগর দিঘি, জাদুঘর, কীর্তনখোলা নদী ও পার্কসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র এখানে অবস্থিত। বাজেট-সাশ্রয়ী বেশ কিছু হোটেল এখানে রয়েছে, যেখানে রাতযাপন করা যায়। এই অঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, চিকিৎসাকেন্দ্র ও রেস্টুরেন্টও রয়েছে। খুব কাছেই রয়েছে পুলিশ স্টেশন ও ফায়ার সার্ভিস।<br><br> যদিও এটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, তবুও কাশিপুর বাজারের চারপাশের নদীপথের সবুজ প্রকৃতি যে কাউকে মুগ্ধ করবে। এখান থেকে আশেপাশের এলাকাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থাও যথেষ্ট উন্নত। তবে নদীবন্দর, কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রধান সড়কে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে।<br><br> কাশিপুর বাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধাগুলো আবাসন, কর্মসংস্থান ও ব্যবসার জন্য অত্যন্ত সহায়ক। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক উন্নয়নের কারণে এখানে নতুন নতুন আবাসন প্রকল্প ও অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। তবে যানজট, অটোরিকশার আধিক্য এবং পরিবেশ দূষণ এলাকাটির প্রধান সমস্যা।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কিশোরগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কিশোরগঞ্জ
, ঢাকা

“উজান-ভাটির মিলিত ধারা, নদী-হাওর মাছে ভরা” - হাওরের জন্য বিখ্যাত বাংলাদেশের প্রখ্যাত জেলা কিশোরগঞ্জের এক পরিচিত বাক্য এটি। কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাণবন্ত জেলা। ভৈরব, সুরমা (দানু নদী), ঘোড়াউত্রা এবং এবং কালনী নদী, এই জেলার ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে। সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, মৎস্য এবং কৃষি অর্থনীতির জন্য এই জেলা পরিচিত।<br><br> কিশোরগঞ্জ ১৩টি উপজেলায় (উপজেলা) বিভক্ত - কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ, বাজিতপুর, ভৈরব, কুলিয়ারচর, মিঠামইন, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, কেন্দুয়া, ইতনা, শাহজাদপুর, নান্দাইল, এবং আসুগঞ্জ। প্রায় ২,৬৮৯ বর্গকিলোমিটারের এই জেলা পূর্বে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার একটি উপজেলা থাকলেও পরবর্তিতে এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি জেলায় পরিবর্তিত হয়। জেলাটি উত্তরে নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ময়মনসিংহ, দক্ষিণে গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং পূর্বে নেত্রকোনা দ্বারা বেষ্টিত।<br><br> অনেক ঐতিহাসিক স্থান, কাল ও ঘটনার সাক্ষী হিসেবে সুপরিচিত হলেও কিশোরগঞ্জ এদেশে সবচেয়ে বেশি প্রখ্যাত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের জন্য। সদর উপজেলার পূর্ব প্রান্তে প্রায় ৬.৬১ একর জমি নিয়ে নির্মিত এই ঈদগাহে প্রতিবছর দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।<br><br> শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান ছাড়াও কিশোরগঞ্জের আরেক নামকরা স্থান হচ্ছে পাগলা মসজিদ। এছাড়াও এই জেলায় রয়েছে বহুকাল পুরোনো জমিদার বাড়ি, মসজিদ, মন্দির ও নানান স্থাপনা ও নিদর্শন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নাম হচ্ছে, জঙ্গলবাড়ি দূর্গ, এগারসিন্ধুর দূর্গ, আওরঙ্গজেবের মসজিদ, তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি, বৌলাই জমিদার বাড়ি, চন্দ্রবতীর মন্দির, ইত্যাদি।<br><br> নদী, হাওর সহ আধুনিক বা সদ্য নির্মিত জনপ্রিয় স্থাপনা ও স্থানসমূহের মধ্যে অন্যতম নিকলী হাওর, অষ্টগ্রাম হাওর, সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু, মিঠামইন জিরো পয়েন্ট ও পর্যটন কেন্দ্র, ভৈরব রেলওয়ে ব্রিজ, নরসুন্দা নদী, ইত্যাদি। ভৈরব নদী, মিঠামোইন, জঙ্গলবাড়ি ফোর্ট, ঈসা খান ফোর্ট, ইত্যাদি এখানকার উল্লেখযোগ্য টুরিস্ট স্পট। কিশোরগঞ্জের লোকসংগীত, নৃত্য এবং নৌকা বাইচ, বাঙালি সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য অংশ।<br><br> ধান, পাট, শাকসবজি, মাছ উৎপাদন এবং গবাদি পশু পালন এই জেলার অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অংশ। নদী, খাল-বিল, হাওর এবং বিস্তীর্ণ কৃষিজমি বেষ্টিত হওয়ায় এই জেলাটিতে প্রচুর কৃষি পণ্য এবং মৎস্য উৎপাদন হয়। এখানে প্রচুর রাইস মিল, পাট প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল, এবং খামার রয়েছে।<br><br> জেলাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিডিকেল কলেজ, হাইস্কুল, স্কুল, এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় জেলার সুপরিচিত ও উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি। শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, এবং পরিবেশ ভালো হওয়ায় জেলার মফঃস্বল এলাকাগুলোতে প্রচুর আবাসিক ভবন গড়ে উঠছে।<br><br> কিশোরগঞ্জের মানুষ আতিথেয়তা এবং পরিশ্রমের জন্য পরিচিত। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে পূর্ণ কিশোরগঞ্জ জেলা বসবাসের জন্য বেশ উপযুক্ত স্থান। তবে আধুনিক আবাসিক এলাকা, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, ট্রান্সপোর্টেশন ও ইউটিলিটি সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কিস্তুপুর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কিস্তুপুর
, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের একটি মনোমুগ্ধকর উপশহর কিস্তপুর। কিস্তপুর এরিয়া গাইড আপনাকে এমন একটি জায়গার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে যেখানে ছোট শহরের অনুভূতি এবং বৃহত্তর শহরের সুযোগ-সুবিধাগুলি একত্রিত হয়েছে। এই অঞ্চলটি ঐতিহ্যবাহী বাড়ি এবং নতুন বাসস্থানের সংমিশ্রণের জন্য পরিচিত, যা আধুনিক আরাম এবং গ্রামীণ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে।<br><br> পরিবহনের ক্ষেত্রে, কিস্তপুর ময়মনসিংহ শহরে যাওয়ার জন্য কয়েকটি প্রধান রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত, যা যাতায়াতকে মোটামুটি পরিচালনাযোগ্য করে তোলে। তবে, বাস এবং রিকশার মতো গণপরিবহনের বিকল্পগুলি সীমিত হতে পারে, বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে, যাদের ব্যক্তিগত যানবাহন নেই তাদের জন্য একটি অসুবিধা হতে পারে। নিকটতম ট্রেন স্টেশন ময়মনসিংহে, যা দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণের জন্য একটি বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে।<br><br> কিস্তপুর একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সহ একটি প্রাণবন্ত সম্প্রদায়ের গর্ব। এই অঞ্চলটি সবুজ, ছোট পুকুর এবং শান্ত রাস্তা দিয়ে ভরা, যা প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এটিকে উপযুক্ত করে তোলে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান, স্থানীয় উৎসব এবং ঐতিহ্যবাহী উদযাপনগুলি খুব সাধারণ, যা এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক শিকড়কে প্রতিফলিত করে। স্থানীয় বাজার হল এই সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র, যেখানে মানুষ কেনাকাটা, মেলামেশা এবং স্ট্রিট ফুড উপভোগ করার জন্য জড়ো হয়, যা এই অঞ্চলের প্রাণবন্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশকে আরও বাড়িয়ে তোলে।<br><br> কিস্তপুরের স্থানীয় অর্থনীতি মূলত ছোট ব্যবসা এবং কিছু পরিষেবা-ভিত্তিক চাকরি দ্বারা পরিচালিত হয়। স্থানীয় অর্থনীতির সরলতার অর্থ হল কিস্তপুরের জীবন শহরের মতো দ্রুতগতির বা বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত নয়, তবে এটি তৃপ্তি এবং স্বনির্ভরতার অনুভূতি প্রদান করে।<br><br> যদিও কিস্তপুরে খুব কম বৃহৎ আকারের উন্নয়ন দেখা গেছে, সেখানে রাস্তাঘাটের উন্নতি এবং নতুন বাড়ি নির্মাণ সহ কয়েকটি ছোট প্রকল্প চলছে। ময়মনসিংহ শহর সম্প্রসারণের সাথে সাথে ভবিষ্যতের বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে পরিবর্তনের গতি ধীর, যা এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী আকর্ষণ এখনো বজায় রেখেছে। রেলওয়ে এবং রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকাটি এলাকার সবচেয়ে কম পরিষ্কার অংশগুলির মধ্যে একটি, যার জন্য যথাযথ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।<br><br> তবুও, কিস্তপুরে প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায়ের চেতনার এক মনোরম মিশ্রণ রয়েছে। যদিও এই স্থানের চারপাশে অনেক মসজিদ রয়েছে, তবুও এলাকার গির্জা এবং মিশনারি কেন্দ্রগুলি আলাদাভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কিস্তপুরের কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান হল সেন্ট প্যাট্রিক ক্যাথেড্রাল, ময়মনসিংহ খ্রিস্টান মিশনের জাদুঘর, দিল রওশন জামে মসজিদ, প্রবর্তক সংঘ শিব মন্দির, রেলওয়ে কলোনি ইত্যাদি।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কুষ্টিয়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কুষ্টিয়া
, খুলনা

কুষ্টিয়া খুলনা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা এবং এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। কুষ্টিয়া শহর দেশের ১৩তম বৃহৎ শহর এবং এর পৌরসভা দেশের ৩য় বৃহৎ পৌরসভা। কুষ্টিয়ার মোট ভূমি এলাকা ১,৬২১.১৫ বর্গকিলোমিটার। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, জেলার জনসংখ্যা ২১ লক্ষাধিক।<br><br> কুষ্টিয়াকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। এখানে দেশের ২য় বৃহৎ শিল্পকলা একাডেমি অবস্থিত এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল। এই জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে এবং মীর মশাররফ হোসেন, লালন শাহ, বাঘা যতীন প্রমুখ ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব এই জেলারই সন্তান। তাছাড়া, মহান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁর শৈশবের একটি অংশ এই জেলায় কাটিয়েছেন।<br><br> পর্যটন স্পট হিসেবে মীর মশাররফ হোসেন মেমোরিয়াল ও মিউজিয়াম, রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ও কাছারি ঘর, ঠাকুর লজ, লালন শাহ মাজার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। জগতী রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন। এছাড়া কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।<br><br> ব্রিটিশ ও মুঘল আমলের ইতিহাস বহনকারী আরও কয়েকটি স্থান হলো জুবিলি ব্যাংক, ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ, হরিনারায়ণপুর শাহী মসজিদ ইত্যাদি। তিলের খাজা, যা ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে উৎপাদিত হচ্ছে, কুষ্টিয়ার একটি প্রসিদ্ধ পণ্য।<br><br> এছাড়া, খোকসা কালী মন্দির, ইউটিউব গ্রাম, কুষ্টিয়া পৌর জাদুঘর, কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী পার্ক, মনি পার্ক ইত্যাদিও জনপ্রিয় আকর্ষণ। মধুমতি নদী, লালন শাহ সেতু, হার্ডিঞ্জ ব্রিজও পর্যটকদের মন কাড়ে।<br><br> জেলার অর্থনীতি প্রধানত বিভিন্ন ধরনের শিল্পের উপর নির্ভরশীল। কৃষি, পশুপালন, অ-কৃষি শ্রম, শিক্ষা, পরিবহন এবং ব্যবসাও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। তবে, নদী ভাঙন, পানির সংকট, বন্যা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা ইত্যাদি সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে জেলাটি।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কেউয়াটখালি প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কেউয়াটখালি
, ময়মনসিংহ

প্রাণবন্ত শহর ময়মনসিংহে অবস্থিত, কেওয়াটখালী একটি ব্যস্ত এলাকা যা তার বৈচিত্র্যময় সম্প্রদায় এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। এই এলাকাটি ময়মনসিংহ সেনানিবাস, শম্ভুগঞ্জ সেতু এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দ্বারা বেষ্টিত, যা একে বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের জন্য একটি আদর্শ কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে তুলেছে।<br><br> এই গাইডে কেওয়াটখালীর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ও সংযোগ ব্যবস্থার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এলাকাটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনার সংমিশ্রণ, যেখানে ছোট ব্যবসা, বাজার এবং খাবারের দোকান রয়েছে।<br><br> কেওয়াটখালীতে বাস, রিকশা ও অটো-রিকশা সহজলভ্য, যা শহরের যাতায়াত সহজ করে তোলে। এলাকার কাছাকাছি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি থাকার কারণে অধিকাংশ দৈনন্দিন যাতায়াত তুলনামূলকভাবে সহজ, যদিও ট্রাফিক জ্যাম একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সাধারণত ভারী ট্রাফিক মুক্ত থাকে।<br><br> অর্থনৈতিকভাবে, কেওয়াটখালী বৈচিত্র্যময়, স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে এমন অসংখ্য ছোট এবং মাঝারি আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ময়মনসিংহের বৃহত্তর বাজার এবং বাণিজ্যিক অঞ্চলের সান্নিধ্য থেকেও এই অঞ্চলটি উপকৃত হয়, যা বাসিন্দাদের বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়।<br><br> কেওয়াটখালী এলাকাটি প্রাণবন্ত হলেও এর বায়ু গুণমান এবং শহুরে জনঘনত্ব সংক্রান্ত কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে, অবকাঠামোগত উন্নতি এবং সম্প্রদায় উন্নয়নের পরিকল্পনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এখানে বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। এটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের জন্য একটি অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন এলাকা, যা এটিকে একটি আকর্ষণীয় এবং সুযোগপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।<br><br> কেওয়াটখালীতে আপনি হয়তো অনেক জনপ্রিয় পর্যটন স্থান খুঁজে পাবেন না। তবুও, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই এলাকার একটি জনপ্রিয় ল্যান্ডমার্ক। এছাড়াও রয়েছে কেওয়াটখালী রেলওয়ে সেতু, রেলওয়ে কোয়ার্টার খেয়া ঘাট, কেওয়াটখালী জামে মসজিদ, কেওয়াটখালী কালী মন্দির ইত্যাদি।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কেরানীগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কেরানীগঞ্জ
, ঢাকা

ঢাকার অন্যতম উপজেলা, কেরানীগঞ্জ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব লাভ করে, যখন বেশিরভাগ গেরিলা অপারেশনের জন্য একে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার ক্রা হয়। আজ, এটি ঢাকার একটি দ্রুত-বিকশিত শহর, বিভিন্ন সম্প্রদায়, ঐতিহাসিক আকর্ষণ, জীবনযাত্রার উন্নত মান, ক্রমবর্ধমান ব্যবসা এবং বাজার এবং প্রগতিশীল অবকাঠামো নিয়ে এটি গর্বিত।<br><br> এরিয়া গাইডে দেখা যায় যে, কেরানীগঞ্জ এর দুটি থানা রয়েছে: কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা। যা মোহাম্মদপুর, শ্যামপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, কোতোয়ালি, লালবাগসহ বিভিন্ন স্থানে ঘেরা। কেরানীগঞ্জের ১২টি ইউনিয়নে ১২০টির বেশি মহল্লা ও প্রায় ৪০০ গ্রাম রয়েছে। ১৬৬.৮৭ বর্গ/কিমি আয়তনের এই শহরটিতে প্রায় ৮০০,০০০ লোকের বাসস্থান।<br><br> দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে প্রধান রুটে যাতায়াতের কারনে কেরানীগঞ্জের অবস্থান এটিকে কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে। তাই ধীরে ধীরে এটি একটি আদর্শ ব্যবসায়িক অঞ্চল হিসেবে আবির্ভূত হয়। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক শহরটিকে ঢাকার সাথে সংযুক্ত করে, যেখানে পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং পদ্মা সেতু রেললাইনের কারণে খুলনা ও চট্টগ্রামের সাথে সংযোগটি কেরানীগঞ্জে আরও সহজতর হয়েছে।<br><br> অধিকন্তু, সাশ্রয়ী জীবনযাত্রার খরচের কারণে কেরানীগঞ্জ অনেক লোকের জন্য একটি পছন্দের আবাসিক এলাকা হয়ে উঠেছে। অসংখ্য স্কুল এবং চিকিৎসা সুবিধার উপস্থিতির ফলে বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ এখানে অবস্থান করে। প্রয়োজনে তারা সহজলভ্য পরিবহন ব্যবহার করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেতে রাজধানীতে চলে যেতে পারে।<br><br> অবশেষে, স্থানীয় এবং ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি, খাবার এবং ভ্রমণপ্রেয়সীরাও কেরানীগঞ্জকে এর বিখ্যাত স্থান এবং স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলি ঘুরে দেখার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ খুঁজে পাবেন।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
খালিশপুর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

খালিশপুর
, খুলনা

ভৈরব ও রূপসা নদীর উপকণ্ঠে খালিশপুর থানা অবস্থিত। এটি খুলনা বিভাগের খুলনা সিটি কর্পোরেশন (KCC) এর অধীনে একটি মেট্রোপলিটন থানা। খালিশপুরের ভৌগোলিক এলাকা হল ১২.৩৫ বর্গ/কিমি।<br><br> আর এখানে খালিশপুর এলাকার গাইড বেশি। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই এলাকায় ২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করে।<br><br> যেহেতু এটি মধ্য খুলনা জেলায় অবস্থিত, খালিশপুর ক্রমবর্ধমান সম্প্রদায়, ব্যবসা এবং সুযোগ-সুবিধার একটি এলাকা। ঢাকা-যশোর-খুলনা সড়কটি শহরের মাঝখান দিয়ে যায় এবং প্রধান পরিবহন সুবিধা প্রদান করে। এটি এলাকাটিকে অন্যান্য প্রধান স্থানের সাথে সংযুক্ত করে, যেমন দৌলতুর, খুলনা সেনানিবাস, বয়রা, নাতুন রাস্তার মোড়, ইত্যাদি।<br><br> যাইহোক, এটির সুযোগ-সুবিধা সত্ত্বেও, শেখ আবু নাসের বাইপাস রোড, যা শহরের আরেকটি প্রধান সড়ক হওয়ার কথা ছিল, প্রায় ১৩ বছর ধরে পরিত্যক্ত রয়েছে। এটি এলাকার আশেপাশের বাসিন্দাদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে কিছু সমস্যার সৃষ্টি করছে। তার উপরে রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়ই ছোট থেকে বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।<br><br> খালিশপুর এলাকায় প্রায় ৩০টি মসজিদ, ২টি মন্দির এবং ১টি গির্জা রয়েছে। এলাকার আয়ের প্রধান উৎস হল ব্যবসা, পরিবহন ও নির্মাণ, ভাড়া, রেমিট্যান্স ইত্যাদি।<br><br> যদিও এই এলাকায় খুব বেশি আবাসিক এলাকা নেই, খালিশপুর হাউজিং স্টেট এই দেশের একটি সুপরিকল্পিত আবাসিক এলাকা। প্রাণবন্ত এবং পরিবর্তিত জীবনযাত্রার পাশাপাশি, খালিশপুর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে, যেমন লিবার্টি সিনেপ্লেক্স, ওয়ান্ডারল্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, রূপশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ইত্যাদি।<br><br> অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে নিউজপ্রিন্ট পেপার মিল, খুলনা জংশন, খুলনা রেলওয়ে স্টেশন, খালিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা পাবলিক কলেজ, খালিশপুর ঈদগাহ মাঠ ইত্যাদি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি স্থান, খালিশপুর ধীরে ধীরে খুলনার একটি নগরে রূপান্তরিত হচ্ছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
গাইবান্ধা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

গাইবান্ধা
, রংপুর

গাইবান্ধা বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য জেলা এবং রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক এলাকা। জেলার অঞ্চলগুলির ৫,২০০ বছরেরও বেশি ইতিহাস রয়েছে, তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে গাইবান্ধা এলাকার নির্দেশিকা অতীতের অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখায়।<br><br> গাইবান্ধা ১৯৮৪ সালে একটি জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ভূমির মোট আয়তন ২,১১৪.৭৭ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ২৬,২১,৭৫৬ জন। জেলা উত্তরে রংপুর ও কুড়িগ্রাম, দক্ষিণে বগুড়া, পূর্বে দিনাজপুর ও জয়পুরহাট, এবং পশ্চিমে কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও যমুনা নদী দ্বারা বেষ্টিত।<br><br> প্রাচীন এলাকা হওয়ায় গাইবান্ধা ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সমৃদ্ধ। জেলার সবচেয়ে পুরনো স্থাপত্যগুলোর মধ্যে রয়েছে গাইবান্ধা খান বাহাদুর জমিদার বাড়ি, নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি এবং বরদান কুঠি। জেলা ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট, করতোয়া নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত।<br><br> মানুষ নদীর ঘাট বা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে গিয়ে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে এবং ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে পারে। এছাড়া, আধুনিক বিনোদন কেন্দ্রের মধ্যে গাইবান্ধা পৌর পার্ক, ড্রিম সিটি পার্ক, মিনি নিকলি গোবিন্দগঞ্জ, আলিবাবা থিম পার্ক ইত্যাদি রয়েছে।<br><br> গাইবান্ধায় ৫,৭৭৩টি মসজিদ, ৮৯২টি মন্দির এবং কয়েকটি অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও, এখানে ২টি সিনেমা হল, ২,৫০০-এর বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলায় ৬৪টি বেসরকারি ক্লিনিক, ১টি সাধারণ হাসপাতাল, ১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কয়েকটি অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে।<br><br> এ জেলার অর্থনীতি কৃষির ওপর নির্ভরশীল, যা মোট অর্থনৈতিক উৎসের প্রায় ৪৪.৪৫%। তবে, ছোট ব্যবসা, কৃষি ছাড়া অন্যান শ্রম, পরিবহন, সেবা এবং ক্ষুদ্র শিল্পগুলোও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে।<br><br> বিভিন্ন জেলা দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়ায় গাইবান্ধায় বিভিন্ন উপভাষা শোনা যায়, যা এটিকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। ভবিষ্যতে, গাইবান্ধা আরও আধুনিক উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যাবে এবং নতুন আবাসন প্রকল্পগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাবে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
গাঙ্গিনার পাড় প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

গাঙ্গিনার পাড়
, ময়মনসিংহ

গঙ্গিনার পাড় ময়মনসিংহ শহরের হৃদপিণ্ড হিসেবে পরিচিত, যা ময়মনসিংহ শহরের প্রাণরেখা নামে খ্যাত। গঙ্গিনার পার ময়মনসিংহ জেলার পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত একটি এলাকা। ময়মনসিংহের এই গঙ্গিনার পার একটি জনপ্রিয় গার্মেন্ট শিল্প এলাকা এবং ব্যবসায়িক পরিষেবার তালিকাভুক্ত। এটি ময়মনসিংহের অন্যতম ব্যস্ততম ও বাণিজ্যিক এলাকা। <br><br> এলাকাটিতে দোকানপাট, বাজার, শপিং মল, সব ধরনের পণ্য কেনাকাটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাছাকাছি হাসপাতাল, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও উপাসনালয় আছেএবং জেলা প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ। এই স্থান ময়মনসিংহের ব্যস্ত জীবনের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ব্যবসা ও কেনাকাটার জন্য এখানে ভিড় জমায়। এটি ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা, যেখানে রাস্তার দুই পাশজুড়ে বিভিন্ন ধরণের দোকান তৈরি হয়েছে এবং অনেকেই এখান থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। <br><br> গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এলাকাটি ময়মনসিংহের একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র, যেখানে কেনাকাটা, বসবাস ও কর্মক্ষেত্রের সমন্বয় রয়েছে। আধুনিক শপিং মল থেকে শুরু করে ব্যস্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি এখানে পাওয়া যায়। ময়মনসিংহের দ্রুতগামী নগরজীবনের ছাপ এখানকার প্রতিটি কোণে দেখা যায়। এছাড়াও, এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কাছাকাছি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় এখানে একটি শিক্ষা পরিবেশও বিরাজমান করে। <br><br> ময়মনসিংহের সদর দপ্তর হওয়ার কারণে, এই স্থানটি ময়মনসিংহের সংস্কৃতি, বৈচিত্র্য এবং ঐতিহ্য বোঝার জন্য বেশ সহায়ক। <br><br> সামগ্রিকভাবে, এলাকাটি ময়মনসিংহ জেলার গার্মেন্ট শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যময় জীবনধারার একটি গতিশীল মিশ্রণ উপস্থাপন করে, যা একে ময়মনসিংহ জেলার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এই স্থানটি দর্শনীয় স্থান থেকে শুরু করে পণ্য কেনাকাটার জন্য বিখ্যাত। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখানে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আসে, আর এই স্থান তাদের সামনে ময়মনসিংহের ঐতিহ্য উপস্থাপন করে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
গাজীপুর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

গাজীপুর
, ঢাকা

গাজীপুর ঢাকা বিভাগের অন্যতম জেলা। এটি ঢাকার অদূরে অবস্থিত হওয়ায় এটি একদিকে প্রাণবন্ত অন্যদিকে রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা। এটি প্রাকৃতিক আকর্ষণ, সাংস্কৃতিক স্থান এবং কোলাহলপূর্ণ বাজারের একটি চমৎকার সমন্বয়। গাজীপুরের আয়তন ১৭৪১.৫৩ কিমি এবং বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫২৬৩৪৫০। গাজীপুরের উত্তরে ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা, পূর্বে নরসিংদী এবং পশ্চিমে ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলা রয়েছে।<br><br> ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জেলাটি এখন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে পরিণত হয়েছে। এটি গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও কালীগঞ্জ সহ কয়েকটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। প্রশাসনিক গুরুত্বের কারণে জেলাটি বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়েছে। জেলা শহর প্রশাসনিক কাজে প্রতিনিয়ত মানুষের ভিড়। ঢাকা জেলা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই জেলাটি দেশের একটি অত্যন্ত উন্নত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।<br><br> গাজীপুর বাংলাদেশের একটি প্রধান শিল্প কেন্দ্র, যেখানে অসংখ্য টেক্সটাইল, গার্মেন্টস এবং ওষুধের কারখানা রয়েছে। শিল্প প্রবৃদ্ধি এলাকার উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়। একই সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিনিধিত্ব করে এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছেন। গাজীপুর বিশ্ব ইজতেমার আবাসস্থল, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বার্ষিক মুসলিম সমাবেশ।<br><br> অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন সহ জেলাটির একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এবং ভাওয়াল রাজবাড়ি এই স্থানের ঐতিহাসিক গভীরতা প্রতিফলিত করে। এটি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নিজ জেলা। কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। এগুলো ছাড়াও গাজীপুর টাউন মার্কেট, ভাওয়াল রাজবাড়ী মার্কেটসহ জলেটিতে রয়েছে প্রাণবন্ত বাজার। যেখানে হস্তশিল্প থেকে বিভিন্ন ধরনের তাজা পণ্য আপনার নখদর্পণে পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে।<br><br> যাতায়াতের জন্য সড়ক ও রেল ব্যবস্থা রয়েছে। বাস, ট্রেন সহ বিভিন্ন ধরণের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এখানে সহজেই পাওয়া যায় যা জেলা থেকে সহজে প্রবেশাধিকার প্রদান করে।<br><br> গাজীপুরের একটি সমতাপূর্ণ এবং নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু রয়েছে। তাদের নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা, খাদ্যাভ্যাস এবং দর্শন রয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে কারখানা ও ভবন নির্মাণের কারণে যানজটসহ নানা সমস্যা লেগেই থাকে। সামগ্রিকভাবে, গাজীপুরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, শিল্প বৃদ্ধি, শিক্ষাগত উৎকর্ষতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ এটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি অনন্য এবং গতিশীল অঞ্চলে পরিণত করেছে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের উৎস।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
গোপালগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

গোপালগঞ্জ
, ঢাকা

গোপালগঞ্জ ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাণবন্ত জেলা। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত, এই জেলাটি সমৃদ্ধ ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং কৃষি অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জন্মস্থান হওয়ায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ভূখণ্ডে গোপালগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।<br><br> কেবল ইতিহাসের পাতায় নয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন এই শহর। নিরন্তর বহমান মধুমতী নদীর কোল ছুঁয়ে গোপালগঞ্জ অবস্থিত। মধুমতি নদীর সতেজ বাতাস এবং নির্মল গ্রামীণ পরিবেশ আপনাকে প্রশান্তি এনে দেবে। গোপালগঞ্জের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। ধান, গম, ভুট্টা, চিনি, উদ্ভিজ্জ তেল, ইত্যাদি এখানকার প্রধান কৃষি পণ্য। এছাড়াও মাছ ধরা এবং গবাদি পশু পালন দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।<br><br> এক সময় বৃহত্তর ফরিদপুরের অংশ হলেও, ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে গোপালগঞ্জ। বর্তমানে এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি জেলা, যার আছে ৫টি উপজেলা, ৫টি থানা, ৪টি পৌরসভা ও ৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদ। গোপালগঞ্জ, রাজধানী ঢাকার প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ঢাকা-গোপালগঞ্জ হাইওয়ে, মাওয়া-গোপালগঞ্জ হাইওয়ে, ঢাকা-খুলনা হাইওয়ে, গৌড়নদী-কোটালীপাড়া-গোপালগঞ্জ হাইওয়ে, বঙ্গবন্ধু রোড, এবং রাজৈর-কোটালীপাড়া রোড, এই জেলাটিকে সারা দেশের সাথে সংযুক্ত করেছে।<br><br> পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর গোপালগঞ্জে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক অগ্রগতি হচ্ছে। ব্যাবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও গোপালগঞ্জ এর অগ্রগতি চোঁখে পড়ার মতন। পদ্মা সেতু আর অন্যান্য সড়ক ও মহাসড়কের উন্নয়নের ফলে মানুষের জীবনমান যেমন হয়েছে উন্নত, তেমনি ব্যবসা ও বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে এক নতুন উন্মাদনা। রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের ব্যবধান কমে যাওয়ার ফলে অনেক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান তাদের শাখা বা উপশাখা হিসেবে বেঁছে নিয়েছে গোপালগঞ্জ।<br><br> কেবল ব্যবসায়িক কাজে নয়, বরং ভ্রমণের ক্ষেত্রেও গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্থান। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন বা বিটরুট ক্যানেলের ধারের দক্ষিণা হাওয়া খেতে প্রায়ই ছুঁটে আসে দেশি-বিদেশি পর্যটক। তাদের থাকা ও খাওয়ার জন্য শহরে গড়ে উঠেছে নানা রকম আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরা।<br><br> জনকল্যাণের জন্য গোপালগঞ্জে তৈরী হয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিক্যাল কলেজ। ২০০ একর ভিত্তিক এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন এর কাজও প্রায় শেষ এর পথে। ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিয়ে অনেকই ঠাঁই নিচ্ছেন এই গোপালগঞ্জে। উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ সেবা, আবাসন ব্যবস্থা, ইত্যাদি এই জেলাটির মানুষের জীবন মান আধুনিক করেছে।<br><br> রাজধানীর সাথে সহজ যোগাযোগ আর অর্থনৈতিক উন্নতিকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠছে উন্নত নগরায়ন। এখানে প্রচুর আবাসিক ভবন, এবং বাণিজ্যিক অবকাঠামো গড়ে উঠছে। তবে অবকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি এখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষে ইউটিলিটি সার্ভিস, ড্রেনেজ সিস্টেম, এবং রাস্তা-ঘাটের উন্নতি করা প্রয়োজন।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ছোট বনগ্রাম প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

ছোট বনগ্রাম
, ঢাকা

ছোট বনগ্রাম বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত একটি গ্রাম। মাদারীপুর জেলা তার উর্বর জমি এবং অসংখ্য নদীর জন্য পরিচিত। ছোট বনগ্রাম থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ৬৮ কিমি। পদ্মা নদী দ্বারা বেষ্টিত মাদারীপুরের কৃষি ও পরিবহন ব্যবস্থার ওপর এর গভীর প্রভাব রয়েছে।<br><br> ছোট বনগ্রাম তার দৃঢ় সম্প্রদায়ের মনোভাব, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। এর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং কৃষি সমৃদ্ধি এটি বসবাসের জন্য একটি চমৎকার জায়গা করে তুলেছে। যদিও এটি একটি ছোট স্থান, তবে এর অবকাঠামো মৌলিক। গ্রামে কিছু স্কুল, মসজিদ এবং স্থানীয় বাজার রয়েছে। এছাড়াও, এখানে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।<br><br> ছোট বনগ্রামের সংস্কৃতি মাদারীপুর অঞ্চলের বিস্তৃত সাংস্কৃতিক অনুশীলনের প্রতিফলন। গ্রামের অর্থনীতি মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানকার মাটি অত্যন্ত উর্বর, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে সাহায্য করে। মাদারীপুর প্রধান সড়ক এবং নিকটবর্তী শহরের সাথে গ্রামটি সংযুক্ত, যা গ্রামবাসীদের সহজে যাতায়াত করতে সহায়তা করে।<br><br> যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং বড় বাজারের মতো কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়ে অভাব রয়েছে, এই অঞ্চলের মানুষ একে অপরের প্রতি অত্যন্ত সহযোগিতামূলক হওয়ায় এটি একটি বাসযোগ্য স্থান।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
জি এল রায় রোড প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

জি এল রায় রোড
, রংপুর

রংপুর সদর অঞ্চল অবশ্যই জেলার অন্যতম সমৃদ্ধ অঞ্চল। আপনি যদি শহরের উন্নয়নশীল অংশগুলিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তবে আপনি জে এল রায় রোড এরিয়া গাইডটি দেখতে চাইতে পারেন। যদিও জে এল রায় রোডের সঠিক ভৌগলিক অবস্থানের পরিসীমা অজানা, জে এল রায় রোডের দুই পাশেই বসতি ও ব্যবসায়িক এলাকা গড়ে উঠেছে।<br><br> জে এল রায় রোডটি জাহাজ সংস্থা মোড় এবং সাতমাথা মোড়েমধ্যে অবস্থিত, যা দুটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলির মধ্যে দুটি। ফলস্বরূপ, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় রয়েছে বিস্তৃত সুবিধা।<br><br> সদর অঞ্চলের অনেক অংশের মতো, এখানকার অবস্থানগুলি বিভিন্ন জীবিত এবং ব্যবসায়িক সুবিধার অ্যাক্সেস সহ একটি নগর জীবনযাত্রার প্রস্তাব দেয়। বর্তমানে, অনেকগুলি খালি প্লট আবাসিক অঞ্চলে বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ। তবে, একটি প্রধান শহর অঞ্চলে থাকায়, এই অঞ্চলে সম্পত্তির দাম বেশ বেশি।<br><br> জেএসকে টাওয়ার এবং জাহাজ কোম্পানির শপিং কমপ্লেক্সের পাশাপাশি, এখানে কেনাকাটার জন্য সহজলভ্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, পরিষেবা, প্রতিদিনের প্রয়োজনীয়তা এবং আরও অনেক কিছুর জন্য শত শত দোকান রয়েছে। এলাকাটিতে একাধিক মসজিদ, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জে এল রায় রোড এলাকার দাখিগঞ্জে ১৯৭১ সালের একটি গণকবর হত্যার স্থানও রয়েছে।<br><br> জে এল রায় রোড এরিয়ায় বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, রংপুর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আরআইটি), লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শালবন সিটি কর্পোরেশন গার্লস হাই স্কুল এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্রামার স্কুল রয়েছে। এটিতে অন্ধদের জন্য একটি বিশেষ শিক্ষা স্কুল এবং প্রাণীদের জন্য একটি ভেটেরিনারি ক্লিনিক রয়েছে।<br><br> রংপুর শহরে আগত ভ্রমণকারীদের জন্য জে এল রায় রোডে একাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে। রূপকথা থিম পার্ক এবং ফুড কর্নার এখানে একটি জনপ্রিয় বিনোদনমূলক অবস্থান।<br><br> জে এল রায় রোড সাময়িক বা স্থায়ী বসবাসের জন্য চমৎকার একটি এলাকা। এটি একটি কম সবুজ, ক্রমবর্ধমান ও উন্নয়নশীল নগর এলাকা।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ডাবল মুরিং প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

ডাবল মুরিং
, চট্টগ্রাম

ডাবল মুরিং এলাকাগাইডে দেখার আগে, চলুন জেনে নেই এই এলাকার এমন একটি আকর্ষণীয় নামের উৎপত্তি সম্পর্কে। ১৮৬০ সালে ব্রিটিশরা দুটি জেটি নির্মাণ করেছিল। পরে, ১৮৮৮ সালে তারা দুটি মুরিং জেটি নির্মাণ করে। এখান থেকেই "ডাবল মুরিং" নামটির সূচনা। এটি চট্টগ্রাম জেলার একটি উপজেলা ছিল। তবে, ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হলে, ডাবল মুরিং একটি থানায় পরিণত হয়।<br><br> এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার কেন্দ্রে অবস্থিত। এর উত্তরে খুলশী থানা, দক্ষিণে কর্ণফুলী থানা এবং কর্ণফুলী নদী, পূর্বে হালিশহর, পাহাড়তলী ও বন্দর থানা, এবং পশ্চিমে কোতোয়ালী ও সদরঘাট থানা। এর মোট ভূমি এলাকা ৮.১২ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৩,৬১,১১৫ (২০১১ সালের আদমশুমারি)।<br><br> পুরোনো এবং কর্ণফুলী নদী ও বন্দর সংলগ্ন এলাকাগুলোর একটি হওয়ায়, ডাবল মুরিং চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে, যা বন্দর এলাকাকে কেন্দ্র করে কার্গো এবং অন্যান্য পরিবহন সুবিধা সরবরাহ করে। তারপরও, এলাকাটি আশেপাশের একাধিক রেলওয়ে স্টেশনের মাধ্যমে সহজেই প্রবেশযোগ্য। এছাড়া, উন্নত সড়ক, সেতু এবং ফ্লাইওভার সংযুক্ত থাকায় যোগাযোগ আরও সুবিধাজনক হয়েছে।<br><br> এলাকার ধরন অনুযায়ী, ডাবল মুরিং আবাসিক ও বাণিজ্যিক অঞ্চলের একটি মিশ্রণ, যেমন হালিশহর আবাসিক এলাকা, রমনা আবাসিক এলাকা, বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা ইত্যাদি। এটি উন্নতমানের এলাকা হওয়ায় এখানে অনেক বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল, মোটেল এবং রেস্টুরেন্ট রয়েছে। জাম্বোরি পার্ক এবং কর্ণফুলী শিশু পার্ক এই এলাকার দুটি জনপ্রিয় আকর্ষণ। এছাড়া, মানুষ বহুতলা কলোনি শিশু পার্ক, হাজার দীঘি, নৃবিজ্ঞান জাদুঘর চট্টগ্রাম ইত্যাদি স্থানেও ভ্রমণ করে।<br><br> যদিও এটি এই এলাকার অংশ নয়, কারণ কর্ণফুলী নদী এবং এর বন্দর এলাকা ডাবল মুরিং থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত। এছাড়া, এখানে মানসম্মত শিক্ষা সুবিধার জন্য অনেক স্বনামধন্য স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা রয়েছে। ফলে, ডাবল মুরিং একটি বহুমুখী এবং আধুনিক জীবনধারা এবং বসবাসের জন্য উপযুক্ত জায়গা।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ডুমুরিয়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

ডুমুরিয়া
, খুলনা

ডুমুরিয়া, খুলনা জেলায় অবস্থিত একটি প্রাণবন্ত গ্রামীণ উপজেলা। এই উপজেলা উর্বর কৃষি ভূমি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত।খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ডুমুরিয়া সবচেয়ে বড়, টোটাল আয়তন প্রায় ৪৫৪ বর্গ/কিমি। উপজেলাটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি খুলনা শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উল্লেখযোগ্য নদীসমূহের মধ্যে রয়েছে ভদ্রা নদী, শালতা নদী, শিবসা নদী, ইত্যাদি।<br><br> ডুমুরিয়ার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। এখানকার লোকজনের আয়ের মূল উৎস আসে চিংড়ি চাষ থেকে। বাগদা, গলদা, হরিণা ইত্যাদি চিংড়ি চাষ হয় ব্যাপক হারে। ইরি মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়। এছাড়াও চাষ হয় নানান শীতকালীন সবজি, যেমন আলু, টমেটো, শীম, পটল, লাউ, করোলা, ইত্যাদি। হস্ত ও কুটির শিল্পের জন্যও খ্যাত ডুমুরিয়া।<br><br> এই উপজেলাটি নদী, বিভিন্ন জলাশয় এবং বনাঞ্চল দ্বারা বেষ্টিত। এর উত্তরে ফুলতলা উপজেলা, দক্ষিণে বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা, পূর্বে সোনাদোনা ও বটিয়াঘাটা এবং পশ্চিমে অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা। ঢাকা-যশোর-খুলনা মহাসড়ক যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। পদ্মা সেতু তৈরী হবার পর এই উপজেলার অবকাঠামো, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার বেশ ভালো উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এখানে কার্যালয় এবং কারখানা স্থাপন করেছে, তাই অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।<br><br> ডুমুরিয়া জেলার সাক্ষরতার হার ৫৫.৬৬% এবং সরকারি, বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। এখানে ১৩০ টিরও বেশি মসজিদ, ২০টি মন্দির এবং অন্তত ৪টি গীর্জা সহ বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, শপিংমল, বিনোদন কেন্দ্রের অভাব রয়েছে। এই উপজেলায় সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে।<br><br> ডুমুরিয়ার দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চুকনগর বধ্যভূমি, আরশনগর শেখ শাহ আফজাল মসজিদ, ডুমুরিয়া কালী মন্দির, ধামালিয়া জমিদার বাড়ি, ইত্যাদি। এখানকার প্রাচীন নিদর্শন ও পুরাকীর্তির মধ্যে রয়েছে চেঞ্চুরী নীলকুঠি, চুকনগর নীলকুঠি, এবং মধুগ্রাম ডাক বাংলো। ঐতিহাসিক দিক থেকেও এই উপজেলা তাৎপর্য পূর্ণ, ১৯৪৮ সালে এখানে সোবনা, ধানীবুনিয়া, কানাইডাঙ্গা, ওরাবুনিয়া ও বকুলতলা গ্রামে তেভাগা আন্দোলন সংঘটিত হয়।<br><br> এই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ভালো, এখানে ডুমুরিয়া থানা, আনসার ও ভিডিপি ক্যাম্প এবং ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্স অফিস রয়েছে। উপজেলার গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা, এবং স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা পিছিয়ে। মফঃস্বল এলাকায় পরিকল্পিত অবকাঠামো এবং উন্নত পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। তবে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।<br><br> বসবাসের জন্য উপযুক্ত ডুমুরিয়া উপজেলা সবুজ শ্যামলে ঘেরা। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো হওয়ায়, এই উপজেলায় আবাসিক ভবন এবং স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে। এখানকার জমির দাম, বাসা ভাড়া এবং জীবনযাপন ব্যায় সাধ্যের মধ্যে। এলাকাটি ভবিষ্যতে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের ভালো ক্ষেত্র হতে পারে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
IconMap

ফিচারড প্রজেক্ট

সবগুলো দেখুন

Bangladesh-এর প্রপার্টি প্রাইস ট্রেন্ড

কেনা
ভাড়া
বেডরুম:
গড় মূল্য (বিগত ১২ মাসের)
BDT 6,440.08 per sqft
বিগত ১২ মাসের বৃদ্ধি
4.39%
Positive Trend
বিগত ৩ মাসের বৃদ্ধি
3.63%
Positive Trend
Icon
দ্রষ্টব্য: মূল্য তথ্য Bikroy-এর পোস্ট করা বিজ্ঞাপন থেকে ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া। সম্পূর্ণ মার্কেটের ডায়নামিক প্রতিফলিত নাও হতে পারে।
hero

Bikroy এ বিক্রি বা ভাড়া দিন: মাত্র ২ মিনিটেই প্রপার্টির বিজ্ঞাপন দিন!